ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেন্টমার্টিন নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

সেন্টমার্টিন নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

সম্প্রতি সরকারের নেয়া সেন্টমার্টিনবিষয়ক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবি জানিয়েছে পর্যটন শিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এছাড়া সংগঠনটি ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার এবং ট্যুর অপারেটর ও ট্যুরগাইড আইনের বিধিমালায় উল্লেখিত জামানত বাতিল, বিভিন্ন অসঙ্গতি দূর করার দাবিও জানায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, আমাদের প্রবল আপত্তির পরও সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করেন। তারা সবাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সেন্টমার্টিনে পর্যটন বন্ধ হলে তারা সবাই বেকার হয়ে যাবেন।

সেইসঙ্গে উদ্যোক্তাদের আর্থিক বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞার কারণেও পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং উদ্যোক্তাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ট্যুর অপারেটরদের নিবন্ধন সংক্রান্ত নতুন গেজেটে কিছু নিয়ম ও শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে, যা মেনে চলা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। বিধিমালায় দেখা যায়, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্থিতির সার্টিফিকেট ও ৩ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, যা ট্যুর অপারেটরদের জন্য সম্ভব নয়।

এতে করে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নতুন উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন।

এসময় ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক ধার্য করার ফলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কস্ট বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিকাশমান পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ট্যুর অপারেটরদের সেবার ওপর মূসক আরোপ নাকচ করার দাবি জানাই।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করে রাত্রি যাপনসহ যাবতীয় বিধি-নিষেধ ব্যাতিরেকে পর্যটন চালু রাখা, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিকল্প পথ তৈরি করা, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স ও নবায়ন ফি ও ব্যাংক স্থিতি কমানো ও জামানত বাতিল, ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর মূসক প্রত্যাহার, বছরব্যাপী সুন্দরবনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল চালু রাখা, পার্বত্য অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পর্যটকদের জন্য অনুমোদন সহজ করার দাবিও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (টোয়াব) পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত