চট্টগ্রামে কমেছে সবজির দাম

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তামীম রহমান, চট্টগ্রাম

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। জনসাধারণের নাগালের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু সবজি। যদিওবা গেল কয়েক সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়েছিল সবজির দাম। সম্প্রতি নিত্যপণ্যের বাজারের দামের ঊর্ধ্বমুখীতা কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যেগ মেওয়া হয়েছে। জানা যায়, কাঁচাবাজারের উত্তাপ কমাতে নানামুখী উদ্যোগ নেয় সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এতে পাঁচ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ১০ সবজির। কাঁচাপণ্যের দাম পুরোপুরি নাগালের মধ্যে না আসলেও দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-ভোক্তারা। বাজার তদারকি ও সবজির দাম কমে আসার বিষয়ে চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, টাস্কফোর্সের কার্যক্রম চলছে, জেলায়-উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সেলস সেন্টার চালু করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এগিয়ে আসছে। আশা করা হচ্ছে বন্যার ক্ষতিটা ছাড়া বাকিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, এখন যে নানামুখী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, সেটা আরো আগে শুরু হলে ভোক্তারা উপকৃত হত। উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। হাত বদলের প্রচলন কমে গেলে দাম সহজে বাড়বে না। তবে এসব উদ্যোগ ক্ষণস্থায়ী, বাজার নিয়ন্ত্রণে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার নগরীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরদিন কৃষি ওএমএস কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার ৬টি সেলস সেন্টারে সবজিসহ নানা নিত্যপয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে জেলা প্রশাসন। আবার বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে গঠিত টাস্কফোর্সও বাজার তদারকি করছে নিয়মিত। নানামুখী এমন উদ্যোগের চাপ পড়েছে কাঁচাবাজারে। দাম কমেছে সবজির। উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয়েছে কৃষক বাজার। নগরীর আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বরবটি, শিম, কাঁচা মরিচ, মুলা, বেগুন, টমেটো, পটল, ফুলকপি, চিচিঙ্গা এবং পেঁপের। এর মধ্যে কেজিতে বরবটির দাম ২০-৩০, শিম ও কাঁচা মরিচের দাম ৮০, মুলার দাম ৫০, বেগুনের দাম ২০, টমেটোর দাম ৪০, পটল ও চিচিঙ্গার দাম ২০, ফুলকপির দাম ৩০ এবং পেঁপের দাম ৫ টাকা কমেছে। নগরে বরবটি ৭০-৮০, শিম ২০০, কাঁচা মরিচ ২০০, মুলা ৭০, বেগুন ১০০, টমেটো ১৬০, পটল ৬০, ফুলকপি ১২০, চিচিঙ্গা ৫০ এবং পেঁপে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে কাকরল ১৪০, করলা ১২০, গাজর ১৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, বাঁধাকপি ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, ছরা ৬০, ঝিঙে ৮০, আলু ৬০ এবং শসা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। নগরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯৫, সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৮০, লেয়ার ৩৪০ এবং দেশি মুরগি ৫২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। এর বাইরে ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। মাছের মধ্যে পাঙাস ১৭০, তেলাপিয়া ২০০, নারকেলি ২০০, কাতল ৩২০, রুই ৩৮০, পোয়া ৩০০ এবং পাবদা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।