মতবিনিময় সভায় তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দুর্নীতিতে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টাসহ জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে লুটেরামুক্ত করে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুলভ, স্বনির্ভর ও প্রাণ প্রকৃতিবান্ধব মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের রূপরেখা: বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি উপস্থাপন করে ‘তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. আনিস চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা। তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির শীর্ষ নেতা অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এই জাতীয় কমিটি কাজ শুরু করেছিল গ্যাস রপ্তানির বিরোধী করে। বাংলাদেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুতের দরকার নাই। রামপাল-রূপপুর বাতিল করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতি হবে। এই সরকারের কয়েকজন সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। রামপাল কয়লা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আশাকরি তারা এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেবেন। আনু মোহাম্মদ বলেন, কাঠ কয়লা এবং খনিজ কয়লার মধ্যে পার্থক্য আছে। যা বিগত সরকার প্রধান জানত না। কারণ তিনি রামপাল কয়লার বিষয়ে একবার বলেছিলেন, তিনি ছোটবেলায় কয়লা দিয়ে দাঁত মেজে ছিলেন। তাই কয়লা কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু আসল বিষয় হলো দাঁত মাজার সেই কাঠ কয়লা এবং খনিজ কয়লার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, জনগণ যেন সঠিক দাম, মাপ ও মানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ, প্রাথমিক জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা পায় এবং দুর্নীতি-লুটের শিকার না হয়, সে জন্য বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহের সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, সমতা, যৌক্তিকতা ও জবাবদিহিতা তথা জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।