বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দারিদ্র্য, পারিবারিক অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্ম ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে এখনো বাল্যবিয়ের হার বেশি। এ অবস্থায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সিরাক-বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশ নবম জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলন-২০২৪ এর একটি সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফের তথ্যমতে, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার। করোনা মহামারির পর এই হার আরো বেড়েছে। সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ফার্টিলিটি রেট ময়মনসিংহ জেলায়, ২ দশমিক ৭। এ ছাড়া ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভের তথ্যমতে, ১৬ বছরের আগে ২৭ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তরুণদের মধ্যে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখছি। সামাজিক সংস্কারের জায়গায় কাজ করতে হবে। সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নীতি নির্ধারক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ থাকছে। এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘যুব ক্ষমতায়ন: সর্বজনীন স্বাস্থ্য শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করা, কৈশোর স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা’। এ ছাড়া সম্মেলনটি হাইব্রিড মডেলে পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অনলাইন ও অফলাইন ফরম্যাটেও অংশগ্রহণ করছেন।