রংপুর সিটির নাগরিক সেবার নামে জনদুর্ভোগ

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

সিটি মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রঞ্জাপন জারির মাধ্যমে কর্পোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ও নাগরিক সেবা সচল রাখতে রংপুরের বিভিন্ন সরকারি দফতরের পদস্থ কর্মকতাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সেই আদেশ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দায়িত্বপালনে বিরত আছেন বেশ কয়জন কর্মকর্তা। ফলে সেবার পরিবর্তে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সিটি নাগরিকরা। এরই মধ্যে দুইজন কর্মকর্তাও দায়িত্ব পালনে অনিহা প্রদর্শন করায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সিটি প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠিয়েছেন। সিটির ৩৩টি ওয়াডের জন্য রংপুর সিটির নাগরিক সেবায় যুক্ত করা হয়েছিল তাদেও অনেকেই আন্তরিকতার মধ্যে দিয়ে দায়িত্বপালনকরলেও ২/৩জন কর্মকর্তা নিজেদেও কে ডিসি’র উপরের র‍্যাংকে চাকরি করেন বলে এসব নোংড়া দায়িত্ব পালন করতে অপারগতা প্রকাশ করে নাগরিকদের তাড়িয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার-২ (উত্তরাঞ্চল) এজেডএম তাইয়ার (২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড), গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম (২ ও ১৬নং ওয়ার্ড)।

সওজ-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহির্ম), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর এসব কর্মকর্তারা সরকারের আদেশ কে মানছেনই না। নাগরিকরা তাদের কাছে গিয়ে ফিরে আসছে এমনকি এদের ভেতর আবার কেও অফিসই করেন না। এদিকে সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও অতিরিক্ত আরো বেশ কটি দায়িত্ব পালন করছেন । সার্বিক বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরাতো তাদের দায়িত্ব দেইনি।

মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন এখন তারা যদি দায়িত্ব পালন না করেন তার জবাবদিহি তাকেই করতে হবে। তিনি বলেন অফিশিয়াল দায়িত্ব পালন ছাড়াও প্রতিদিনই ১০০ থেকে দুই নাগরিককে সনদ চারিত্রিক সনদসহ বিভিন্ন সনদ নাগরিকদের প্রদান করতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাদেও দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে তারা হলেন রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী (১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ড), স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রায়হান কবির (২০ ও ২৫নং ওয়ার্ড), বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার-২ (উত্তরাঞ্চল) এজেডএম তাইয়ার (২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড), গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল আলম (২ ও ১৬নং ওয়ার্ড)।

সওজ-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম (৫ ও ১০নং ওয়ার্ড), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ (৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর (১ ও ২৪নং ওয়ার্ড), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসনাত জামান (২১ ও ৩১নং ওয়ার্ড), উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. ওয়াজেদ আলী (১ ও ১০নং ওয়ার্ড)। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান (৭, ১৭ ও ৩৩নং ওয়ার্ড), পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ গণি (১০, ২২ ও ২নং ওয়ার্ড), বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় (১১, ১২ ও ১৪নং ওয়ার্ড)।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান (২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আকিদুল ইসলাম (১৫ ও ২৮নং ওয়ার্ড) এবং সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে যারা দায়িত্ব পালন করবেন প্রত্যেকে সরকারি বিধি মোতাবেক ৫ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রাপ্ত হবেন। এ ছাড়াও মিটিং কিম্বা মাসিক সভার জন্যও ভাতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।