বাস চাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত
সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গেটে মাইশা ফৌজিয়া মিম নামে এক শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। গত বুধবার রাত ও গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর অবরোধের ফলে বরিশালের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার রাতে, মাইশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেল নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। নিহতের মৃত্যু ঘটনার পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ৫ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং ভিসি’র বাসভবন ঘেরাও করেন। তারা রাত ২টার দিকে জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে ৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। মহাসড়ক অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা দাবি জানান, যার মধ্যে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি অন্যতম। নিহতের জানাজার নামাজ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘মাইশা মিমকে হত্যা করা হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা নয়, পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড।’ তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শুচিতা শরমিন বলেন, ‘পুলিশ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ। মাইশার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে : মাইশা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া। ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও বাসের রুটপারমিট বাতিল করা। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। মাইশা ফৌজিয়া মিম পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বুধবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোড সংলগ্ন মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।