‘কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী চিকিৎসকরা’
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আওয়ামীপন্থি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এ সময় আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার ও বাধা প্রদানকারীদের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে তারা বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী দোসর শিক্ষক, চিকিসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছে। এ সময় তারা সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ফ্যাসিবাদের দোসররা। সুপার স্পেশালাইজড হাসাপতাল প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা কনভেনশন সেন্টার নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করা হয়েছে। এর ফলে এগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের হয়রানী, চাকরিচ্যুতি, পদাবনতি ও উচ্চ শিক্ষা অর্জনের বাধা প্রদান করা হয়েছে। বৈষম্যের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণাকে ধ্বংস করা হয়েছে। পদোন্নতি বৈষম্যের কথা তুলে ধরে চিকিৎসকরা বলেন, প্রায় ২৭৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিপরীতে তাদের থেকে কম যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধাশূন্য করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি না দিয়ে শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, রিএজেন্ট ও ওটি সরঞ্জামাদি ক্রয়ে গুণগত মান যাচাই-বাছাই না করে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ৬ মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মকর্তা-নার্স ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।