নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাসায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাবুল নামে একজনের মৃত্যু হয়। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বাবুল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাবুল মিয়ার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে নিহত বাবুল মিয়ার ছেলে ইসমাইল (১১), একই দিন সকাল ৯টার দিকে অপর ছেলে সোহেল মিয়া (২০) এবং সন্ধ্যায় মেয়ে তাসলিমা (৯) মারা যায়। এদের মধ্যে নিহত সোহেলের শরীরের ৭০ শতাংশ এবং ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ ও তাসলিমার ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। বর্তমানে বাবুলের স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫) ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি (১৮) ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার একটি বাসায় আগুন লেগে ওই ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। নিহত বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল বলেন, নিহত বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসর মেশিন ছিলো। রাতে খাওয়া দাওয়া করে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ কম্প্রেসর মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হয়। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি। তিনি আরো বলেন, বাবুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার স্ত্রী সেলি এনজেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী। ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত। ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নিহতদের স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন।