সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুপ্রিমকোর্ট ও কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সুপ্রিমকোর্টসহ এর আওতাধীন আদালত এবং আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদানে সুপ্রিমকোর্টের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে। এ অবস্থায়, সুপ্রিমকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত হোটেল-রেস্টুরেন্টে তালিকাভুক্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হলো। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যেসব বিকল্প পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের প্রস্তাব করছে সেগুলো হচ্ছে:
(ক) প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করা।
(খ) প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করা।
(গ) প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করা।
(ঘ) প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেব্রিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহার করা।
(ঙ) দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করা।
(চ) বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সরবরাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের হয় বা পরিবেশবান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করা।
(ছ) একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, কাটলারিসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করা।
(জ) প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করা।
(ঝ) বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সব ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা।
(ঞ) ফুলের তোড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।
সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অলোচিত এবং উদ্বেগের বিষয়। বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পানিদূষণসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণ আমাদের দেশের তীব্র আকার ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে পরিবেশ দূষণ রোধ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।