২৮ মাসেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ

বিএডিসির আলুবীজ সংরক্ষণাগার

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরে বিএডিসির মানসম্পন্ন বিশেষায়িত আলুবীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ কাজ ২৮ মাসেও সম্পন্ন হয়নি। ২০২২ সালের ১৭ জুন নগরীর বিসিক শিল্প নগরীতে ২ হাজার মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ১৬ কোটি ৬১ লাখের বেশি টাকা ব্যয়ে রংপুরে বিএডিসির দ্বিতীয় মানসম্পন্ন বিশেষায়িত আলুবীজ সংরক্ষনাগার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এ জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয় ১৫ মাস।

সেই অনুযায়ী এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে দুই দফায় সময় বাড়িয়েও র্দীঘ ২৮ মাসেও এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। সর্বশেষ বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী গত ৩০ সেপ্টম্বর এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও সে সময়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ। এখন তৃতীয় দফায় এর সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইকম-ইইএল জেভি। দেশের অন্যতম আলুবীজ উৎপন্ন এলাকা হচ্ছে রংপুর। বর্তমানে রংপুরে বিএডিসির এক হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যে মানসম্পন্ন আলুবীজ সংরক্ষণাগার রয়েছে, সেটির ধারন ক্ষমতায় স্থান সংকুলান হয় না। চাষিদের প্রচুর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন ২ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিশেষায়িত আলুবীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইকম-ইইএল জেভি এর গাফিলতির কারণে চাষিদের সেই চাহিদার স্বপ্ন পুরনে হয়রানি এবং বিলম্বিত হচ্ছে। এদিকে রংপুরে বিশেষায়িত আলুবীজ সংরক্ষনাগারের স্থান সংকটের কারণে চাষি এবং আলু ব্যবসায়ীরা ব্যয় বহুল ভাবে দেশের অন্যত্র মুন্সিগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করে থাকেন।

বীজ ডিলাররা জানান, রংপুর হিমাগার থেকে বীজ আলু সংগ্রহ করতে পরিবহন খরচ হয় প্রতি ট্রাকে ২ হাজার টাকা। অথচ মুন্সিগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করতে প্রতি ট্রাকে পরিবহন খরচ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এই বাড়তি খরচের জন্য আলুবীজের দামও বেড়ে যায়। বিএডিসির রংপুর অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুল করিম এবং আলুবীজ বিভাগের উপ-পরিচালক (মান নিয়ন্ত্রন) আসাদুজ্জামান খান জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাদের তাগাদা দেয়া হয়েছে।