শিল্পকলা রক্ষায় জনতার ভূমিকা জরুরি

সৈয়দ জামিল

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, জনগণকেই শিল্পকলাকে বাঁচাতে হবে। দায়িত্ব জনতাকেই নিতে হবে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পাহারায় নয়। আমরা জনবান্ধব শিল্পকলা একাডেমি চাই। গতকাল রোববার সকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। এ সময় তিনি ২ নভেম্বরের বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ‘নিত্য পুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিলের কথা তুলে ধরেন।

২ নভেম্বর ঘটনা তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে যাত্রা উৎসব চলাকালীন নাট্যশালার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। ড. জামিল বলেন, বিক্ষোভকারীরা জানায় যে সংগঠনের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, তাদের দলের একজন সদস্য স্বৈরাচারের দোসর। ওই ব্যক্তির কারণে নাট্যদলের প্রদর্শনী করতে দেবে না। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, শিল্পকলার কণ্ঠ যেন কেউ রোধ না করে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো আমরা স্বৈরাচারী হতে চাই না। গত ২০১৮ সাল থেকে তিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নাটক করছেন।

বিক্ষোভের উত্তেজনা বাড়লে শেষমেশ প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। ড. জামিল বলেন, দেশের ২২ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয়েছে। সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা প্রদর্শনী বন্ধ করি। আমি ভেতরে গিয়ে দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নাটক মঞ্চস্থ করার ক্ষেত্রে দর্শকদের রায় গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তির কারণে নাটক দলের ক্ষতি যেন না হয়। পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯-এর প্রস্তাবিত সংশোধিত খসড়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি সবাইকে মতামত লিখিত আকারে জানানো আহ্বান জানিয়েছেন।