ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আট বিভাগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে উৎসব

আট বিভাগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে উৎসব

বাংলাদেশের আট বিভাগের আট সাংস্কৃতি ঐতিহ্য তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়েছে ‘আনন্দ বৈভব: উৎসবের বাংলাদেশ’। গতকাল শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ছিল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

‘আনন্দ বৈভব: উৎসবের বাংলাদেশ’ আয়োজনে আট বিভাগের আট বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনুসঙ্গ মঞ্চে তুলে ধরেন আট উন্নয়ন সংস্থার আশি জন শিল্পী। ‘বাহা’ উৎসবের অনুসঙ্গ পরিবেশন করে ব্রতী, রাঙ্গামাটির ‘সাংগ্রাই’ উৎসবের অনুসঙ্গ পরিবেশন করে কালচার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ, সিলেটের ‘মণিপুরী লাই হারাওবা’ উৎসবের অনুসঙ্গ পরিবেশন করে মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স, ঢাকা কালিহাতির ‘শাওনে ডালা’ উৎসবের অনুসঙ্গ পরিবেশন করে সাধনা, বরিশালের ‘নৌকা বাইচ’ পরিবেশন করে উড়ন্ত আর্টিস্ট কমিউনিটি, খুলনার রাশমেলা পরিবেশন করে ভাবনগর ফাউন্ডেশন, রংপুরের ধামের গান পরিবেশন করে গিদরি বাউলি এবং ময়মনসিংহের ‘দেউলি পৌষ’ উৎসবের অনুসঙ্গ পরিবেশন করে উইমেনস লিডার।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রধান কর্মকর্তা মিজ সুজান ভাইজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উৎসবের সহ-আয়োজক আট উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লুবনা মারিয়াম।

বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ৫ হাজার বছর ধরে লালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ, মানুষের বৈচিত্রময় গোষ্ঠীর সাথে, বৈচিত্র্যময় বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ) এ দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এ দেশের সংস্কৃতির ধারা-উপধারা এতই বিস্তৃত যে, সেসবের সন্ধান করা কষ্টকর। সেসবের মধ্যে অনেক ঐতিহ্য এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে। যে ঐতিহ্যগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সুরক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তারা আরো বলের, বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি একটি দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরে এবং সাংস্কৃতিক সত্ত্বার অস্তিত্বকে জানান দেয়। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে লুবনা মারিয়ামের লেখা চারটি বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী।

ইংরেজি ভাষায় লেখা বইগুলো হলো ‘টেরাকোটা টেলস ফ্রম সোমপুর’, ‘রাসমেলা: অ্যাটনমেন্ট বাই দ্য সি’, ‘অব মিথস, মনসুন অ্যান্ড মনসা’ ও ‘লাঠিখেলা: ড্যান্স অর ডিফেন্স’। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষার জন্যে ‘ইমপ্লিমেন্টিং কমিউনিটি বেজড হেরিটেড ফেস্টিভ্যাল ইন এইট অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ডিভিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পটির মূল পৃষ্ঠপোষক ইউনেস্কো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত