পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাঘ, হাতিসহ সকল বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হবে। বন ধ্বংস বন্ধ করে বিদ্যমান সব বন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় ছোট ছোট উদ্যোগও বড় পরিবর্তন আনতে পারে। গতকাল ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে ‘ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড’-এর জাতীয় পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাচীন বৃক্ষকে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষার বার্তা দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবুজ ও সুন্দর বাংলাদেশে বাস করুক। একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া, পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করতে, অযথা হর্ন না বাজাতে এবং দিনের বেলা ফ্যান-লাইট বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডের থিম সং এর ভিডিও চিত্র ও গীতিনাট্য প্রদর্শিত হয়। বন্যপ্রাণী হত্যা না করার শপথ গ্রহণ করানো হয়। জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট, সার্টিফিকেট এবং উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা প্রতিযোগীদের জন্য ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবারের অলিম্পিয়াডে সারা দেশ থেকে অনলাইন ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এক লক্ষ সাত হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরপর কয়েক ধাপে জেলা পর্যায়ে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।