খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুবি প্রতিনিধি
‘আমার একটা মাত্র ছেলেকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের কুলাঙ্গাররা। আমার বুকটা ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে। ছাত্রলীগের হাতে রক্ত রঞ্জিত হয়ে আমার ছেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে। অশ্রুশিক্ত চোখে এভাবে ছেলে হত্যার বিচার চেয়েছেন ফাতেমা বেগম। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলে নিহত হন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কুবির প্রশাসনিক ভবনের নীচ তালায় ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহর হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মা ফাতেমা বেগম ও বাবা মোহাম্মদ নুরুল আবেদিন। সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলের খুনিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায় আর আমি এখনো ছেলে হত্যার বিচার পেলাম না। সাবেক ভিসি আব্দুল মঈন, ইমরান কবির তাদের চাকরির ব্যবস্থা করেছে। আমি চাই হত্যা জড়িত থাকা সকল আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হোক এবং এদের মধ্যে যারা চাকরি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের চাকরি বাতিল করার দাবি জানাই। নিহত খালেদ সাইফুল্লাহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে ছাত্রলীগ করতে জোর করেছে ছাত্রলীগের আলিফ ও মাসুম। আমার ছেলে যদি আসলেই ছাত্রলীগ করতো তাহলে আমরা আওয়মী লীগের আমলে এই হত্যার বিচার পেলাম না কেন? উল্টো ছাত্রলীগের নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ, বিপ্লব চন্দ্র দাস, রেজা ই এলাহি, আলিফ, ফিরোজ, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাইফ সোহেল, মাজহারুল ইসলাম হানিফ আমাকে বার বার চাপ প্রয়োগ করে আসছে চার্জশিট থেকে নাম তুলে নেয়ার জন্য। এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘আজকে নয় বছর হচ্ছে আমার ছেলে হত্যার। মামলা তদন্ত প্রতিবেদন আমি বার বার নারাজি দিয়ে আসছি। কারণ মূল আসামিদের বাদ দেয়া হচ্ছে প্রতিবেদনে। আমার দুই মেয়েকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যারয়ে চাকরির লোভ দেখানো হয়েছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। আমরা ছেলের রক্তের সাথে বেঈমানি করতে পারবো না। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের কাছে ছেলে হত্যার বিচারের দাবি জনাই। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পিতা মোহাম্মদ আবেদিন বলেন, ‘আমার পুত্র হারানোর ৯ বছর অতিবাহিত হচ্ছে, কিন্তু বিচারের কোনো আশা দেখছি না। আমরা পুত্র হারা পিতা-মাতা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যম বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।