কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

নানা আনুষ্ঠানিকতায় উৎযাপিত হয় উত্তরের অক্সফোর্ড খ্যাত কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১০৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম। পরে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে নগরীর লালবাগ প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন তারা। দুই পর্বের অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্বে সকালের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ ড. রেহেনা খাতুন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়, কারমাইকেল কলেজ সাবেক ছাত্র সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিবুস সুলতান মানিক।

এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর এবিএম রেজাউল করীম। বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হয় সমাপনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ৯০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি, সম্মান ও স্নাতকোত্তরে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শিক্ষকদের মুখে উঠে আসে পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নানা সমস্যা-সম্ভাবনার কথা। মকারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উত্তরের এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠটিতে শিক্ষার্থীদের হল ও শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা অনেক অপ্রতুল। অনেক বিভাগেই পুরাতন ভবনে পাঠদান হচ্ছে। আমরা চাই আবু সাঈদ এর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ ১০৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কলেজটির উন্নয়ন করতে সুদৃষ্টি রাখবেন।