ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউজিসি অডিটরিয়ামে কর্মশালায় বক্তারা

অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে সাশ্রয় হবে ৭০০ কোটি টাকা

অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে সাশ্রয় হবে ৭০০ কোটি টাকা

বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরিপ্রত্যাশী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সকল সনদ অনলাইনে সত্যায়ন নিশ্চিত করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বক্তরা।

গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটরিয়ামে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রি নিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সনদ অনলাইনভিত্তিক এপোস্টিল প্লাটফর্মে সত্যায়ন শীর্ষক এক কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।

ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) ড. শাহ্ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর। কর্মশালায় বক্তরা বলেন, মন্ত্রিসভায় এপোস্টিল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন সনদ, দলিল, হলফনামা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২৭টি দেশে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। বক্তারা উল্লেখ করেন, এপোস্টিল পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজারের অধিক সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন করা সম্ভব হবে এবং এতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া, এপোস্টিল পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট সত্যায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে এবং ভোগান্তি কমে আসবে বলে তারা জানান। কর্মশালায় বক্তরা আরও জানান, অনলাইনে সত্যায়ন করা হলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সত্যায়নে নকল প্রবণতা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধ করা যাবে। এপোস্টিল পদ্ধতিতে প্রতি দিন ১০ হাজারের অধিক সনদ সত্যায়ন করা যাবে। উল্লেখ্য, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘এপোস্টিল মাইগভ’ (apostille.mygov.bd) প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এটুআই এবং ইউজিসি উচ্চশিক্ষা স্তরের সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন বাস্তবায়ন করবে। অনুষ্ঠানে ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আইটি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগর পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দূর্গা রানী সরকার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মো: রেজাউল করিম হাওলাদারসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত