উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে দুইজন করে চারজন উপদেষ্টা নিয়োগ, বিতর্কিত কাউকে উপদেষ্টা পরিষদে না রাখা এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য না করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উত্তরবঙ্গ থেকে আগত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, আজকে আমরা যে দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি, সেটি উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষের প্রাণের দাবি।
কোনো আন্দোলন শুরু হলেই উত্তরবঙ্গ লেলিনগ্রাদ হয়ে যায়। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ উত্তরবঙ্গের আবু সাঈদ অথচ উত্তরবঙ্গের কেউ উপদেষ্টা পরিষদে নেই। তিনি বলেন, উপদেষ্টারা বলেছিলেন ছাত্র-জনতা তাদের নিয়োগকর্তা। গত দুই দিন আগে যে তিনজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে শপথ পড়িয়েছেন তাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? দাবি মানা না হলে যমুনা সেতু ব্লক করে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন মাহিন সরকার।
সমন্বয়ক রিফাত রিদওয়ান বলেন, শহীদদের রক্তের সাথে গাদদরি করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে। ফারুকীর মতো ফ্যাসিবাদের দোসর যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছে তাদের আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে বিভাগ ভিত্তিক কোরাম চলছে। আমরা রক্ত দিয়েছি তবুও বৈষম্য নিরসন হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবী সরকার। তাদের বিপ্লবীর মতো কাজ করা উচিত। কিন্তু তারা সুশীলতা দেখাচ্ছে। তিনি সরকারকে সব বৈষম্য নিরসনের প্রতি সরব হতে আহ্বান জানান।