বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে, কিন্তু খালেদা জিয়া কখনো দেশ থেকে পালায় না। শেখ হাসিনা দম্ভ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা কখনো দেশ থেকে পালাবে না। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি তার দলবল এমপি মন্ত্রী সবাইকে ফেলে নিজেই দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কোন্ডা ইউনিয়নের সাধুরবাজার স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে কেরাণীগঞ্জ থানা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য আমরা যতনা আন্দোলন করেছি তার চেয়ে বেশি হাসিনার উপর আল্লাহর গজব পড়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গর্ব করে বলতেন আমি একজন শ্রমিক। বেগম খালেদা জিয়াও বলতেন আমি একজন শ্রমিকের বউ। জিয়াউর রহমান মাটিকাটা উদ্বোধন করতেন না। তিনি নিজের হাতে কোদাল দিয়ে হাতেই মাটি কাটতেন। যে জাতি শ্রমিকদের যত মর্যাদা দিয়েছে সেই জাতি তত উন্নত হয়েছে। শ্রমিকদের মর্যাদা না দিলে একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর দেশে পরিণত হতে পারে না। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা তাই দেশের সক্ষম বেকারদের হাতে কাজ দিলে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের চেয়ে গুম একটি নিষ্ঠুর ঘটনা। না পারে আত্মীয়-স্বজন কবর জিয়ারত করতে, না পারে মৃত্যুবার্ষিক পালন করতে। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানব সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ ও সোচ্চার থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেরানীগঞ্জ শ্রমিকদলের সভাপতি হাজী মো. শাহিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নিপুন রায়। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবু, কোন্ডা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. নূর হোসেন নূরু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদ, কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান, সোহেল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা শ্রমিক দোলের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী, বিএনপির নেতা মাহবুবুল আলম মামুন, থানা যুবদলের সভাপতি হাজী মাসুদ আলম স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক, মহিলা নেত্রী রাশিদা বেগম, রেজিয়া বেগম প্রমুখ।