বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, বিপন্ন অসহায় সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না। ট্রাস্টের সহায়তা প্রকৃতভাবে যারা প্রাপ্য তারাই পাবে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিশেষত তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এরই মধ্যে বহুমুখী কল্যাণ ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা। কল্যাণ ট্রাস্ট এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এম আবদুল্লাহ বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্বাধীন সাংবাদিকতায় এখন আর কোনো অন্তরায় সৃষ্টি করা হচ্ছে না। সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর বিটিভির সংবাদ প্রচারে যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে। টিভি টকশোতে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা এখন আর নির্ধারণ করে দেয়া হয় না। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের তল্পি বহন করে যারা সাংবাদিকতাকে কলুষিত করেছে, সাংবাদিক সমাজকে জনসাধারণের কাছে হেয় করেছে তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন এ উপলক্ষে ‘সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে সভাপতি ও দৈনিক দিনকালের রংপুর ব্যুরো প্রধান সালেকুজ্জামান সালেক। বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জিএম হিরু, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রংপুরসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৩৩ জনের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।