শীতকালে আগুন লাগার ঘটনা বেশি বেশি ঘটে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের অগ্নিনিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, শীতকালে আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে, কুয়াশাও থাকে। তারপরও আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটে শীতেই। কারণ শীতের ঠান্ডা বা কুয়াশা আগুন ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে না। উল্টো শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়ায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমাতে নাগরিকের সচেতনতা বেশি প্রয়োজন। সচেতনতার অভাবেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে।
তিনি আরো বলেন, ফায়ার ফাইটাররা সবসময় প্রস্তুত থাকেন। ফায়ার কন্ট্রোলরুমে আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যানজটের কারণে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় সব খাল, নর্দমা, পুকুর ও ঝিল ভরাট হয়ে গেছে। বেশির ভাগ ভবনে থাকে না পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা। অনেক সময় পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া প্রধান ও প্রশিক্ষক শাহজাহান শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৪০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। দিনব্যাপী কর্মশালায় আগুন লাগার কারণ, নিয়ন্ত্রণের উপায় ও কৌশল হাতে কলমে শেখানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা। মিজানুর রহমান বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। আর সচেতনতার জন্য প্রয়োজন জেলা, উপজেলায় সভা সেমিনার করা। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, ডিআরইউ পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংগঠন। অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিতে পর্যায়ক্রমে ডিআরইউ’র সব সদস্যসহ দেশের সব জেলা- উপজেলার সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার আহ্বান জানান।