গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পুলিশের অনুপস্থিতিতে রাজধানীর সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশে যুক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। চলতি মাসের শুরুতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রাফিকে যুক্ত হয়। এই সময়ে তারা সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অবৈধ গাড়ি জব্দে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। আর এতেই শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। তারা বলছেন, রাস্তায় শিক্ষার্থীরা অটোরিকশা ধরে ব্যাটারি খুলে রেখে দেয়। ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত তার ছিড়ে ফেলে। ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন চালক, মালিকসহ এই খাতের সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর মহাখালীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। বেলা ১টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ তিন রাস্তা এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন অটোরিকশা চালকরা। তাদের অভিযোগ ওই শিক্ষার্থী ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মিলে তাদের গাড়ি ধরেছিলো। তাই তাকে একা পেয়ে মারধর করেন ক্ষুব্ধ অটোরিকশা চালকরা। মারধর করার পর চলে যাওয়ায় আহত ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা যায় নি। এরপর আরো কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ধাওয়া দেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। এ দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। শিক্ষার্থীদের হামলায় আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন মো. মামুন (৩০) ও আলী মিয়া (৬৬) দুই অটোরিকশা চালক। তারা জানান, মোহাম্মদপুরের ময়ূর ভিলা ভবনের সামনে ২০/৩০ জন শিক্ষার্থী তাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে তারা আহত হয়েছেন। আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের ওপর হামলার খবরে কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় মকবুল কলেজ ও আশেপাশে মহড়া দেয় আন্দোলনরতরা। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়।