এইডসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ইউএনএআইডিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান। গতকাল শনিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের অডিটোরিয়ামে এ আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এই সেমিনার আয়োজন করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর। সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে।’
ডা. সায়মা খান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে মাদকগ্রহণকারী, নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা নানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মাধ্যমে। একজন মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সমাজের সবার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি/এইডস প্রোগ্রামের চিফ অফ পার্টি ড. রনওক খান বলেন, এইচআইভি প্রতিরোধ, চিকিৎসা সেবার অধিকার থাকা উচিত। এ জন্য তিনি বৈষম্য, স্টিগমা এবং কুসংস্কার মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি/এইডস প্রোগ্রামের এডভাইজার এডভোকেসী এন্ড হিউম্যান রাইটস এজাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ন্যায্য আধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা মূলক সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। তাদের অধিকার নিশ্চিতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সব সংস্থাকে তাদের কল্যাণে কাজ করার কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, এইচআইভি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা স্বপ্ন দেখি ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে এইডসমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ। উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম প্রোগ্রাম অফিস ইন বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর (ড্রাগস এন্ড এইচআইভি/এইডস) মো. আবু তাহের, এএসপির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এ ছাড়া সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, আশার আলো সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহমান, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এমএস মুক্তি, আপোস এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার পল্টু প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এইচআইভি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী নানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সমাজের তাই একজন মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি সমাজের সবার।
