হতাশ হওয়ার কিছু নেই বললেন নৌ উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, সড়ক হচ্ছে সেতু হচ্ছে। তাই পরিবর্তনও কিছুটা ঘটবে। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন বরিশালে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল স্টিমার, আমরা কখনো চিন্তা করেনি এরকম লঞ্চ হবে এবং জীবদ্দশায় দেখবো। কয়েকদিন পরে হয়তো বড় স্পীডবোটেও ঢাকা থেকে বরিশালে লোক আসবে। যোগাযোগের উন্নতি হতে হবে, থেমে থাকা যাবে না। নৌ যোগাযোগেও অনেক আধুনিকতা আসবে, বিশ্বের সবজায়গাতে এটা আছে। তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গতকাল সোমবার সকালে এ পা?সিং আউট প?্যা?রেড অনুষ্ঠা?ন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। নৌ রুটের নিরাপত্তা ও রাতে অবৈধ বাল্কহেড চলাচল রাতে বন্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিজি শিপিংকে বলা হয়েছে। তিনিও অবগত তবে তার হাতে অনেক পরিদর্শক নেই। আমরা পরিদর্শক আরো আনছি। অন্যায় এবং আইন-বহির্ভূত কাজ আমরা বন্ধ করবো। দুবাইয়ে মেরিনদের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা দুবাই সরকারের সাথে কথা বলেছি।

অ্যাম্বাসেডরও জানিয়েছেন তিনিও কাজ করছেন। ফলে অচিরেই এটির সমাধান হবে।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সরকার তাদের চিন্তা থেকে এটি বন্ধ করেছে, আর আমরা আমাদের মেরিনারদের জন্য যেটা চাচ্ছি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে আইএমও তেও আলোচনা করেছি। তবে এটা শুধু দুবাই নয়, অনেক সময় সিঙ্গাপুরসহ অন্য দেশেও এটা হয়। ভিসা দেয়া না দেয়া হচ্ছে অন্য দেশের বিষয়, তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আর দুবাইয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। প্রধান উপদেষ্টার কথাতে দুবাইতে যাদের জেলে দেয়া হয়েছিল তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যেটা সাধারণত দুবাইতে করে না। তিনি বলেন, আমরা আশাকরি দুবাইয়ের বিনোয়াগ আমাদের দেশে আসবে, সেটা অচিরেই জানতে পারবে না। ইকোনোমিকালি আমাদের সাথে দুবাইয়ের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠছে এবং উঠবে বলে আশাকরি। প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষে তিনি সাংবাদিকসহ উপস্থিত স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, বরিশাল শহরটাকে পরিষ্কার রাখেন। এই শহরটা এক সময় খুবই সুন্দর ছিল, পরিষ্কার ছিল, অনেক খাল ছিল। ছোটবেলায় ভূগোলে পরতাম প্রাচ্যের ভেনিস নগর বরিশালকে বলা হতো। আমার মনে আছে- এক সময় জিলা স্কুল ও সার্কিট হাউজের সামনে দিয়ে নতুনবাজারে পাল তোলা নৌকা যেত। কিন্তু এগুলো কেন বন্ধ করা হয়েছে জানি না। তিনি বলেন, আমি কোনদিন শুনিনি বরিশালে জলাবদ্ধতা হয়, খাল দিয়ে জোয়ারে পানি আসলে ভাটায় নেমে যেত। যারা এগুলো করেছে তারা হয়তো ভাবেনি ভবিষ্যতে বরিশাল শহর পানির নীচে চলে যাবে।

বর্ষা হলেই পানির নীচে। তিনি বলেন, বরিশালে আমার জন্মস্থান ও বাড়ির। বাড়ির সামান্য অংশ এখনো রয়েছে। এই বরিশালে আসলে আমার খুব ভালো লাগতো এক সময়। কিন্তু এখন দেখি সব বন্ধ করে ড্রেন বানানো হয়েছে। ড্রেনের ভেতর ময়লা। এই শহরটাতে এত ময়লা হয়েছে, আপনারা একটি ক্যাম্পেইন করুন যাতে আমাদের উপদেষ্টারা এদিকে নজর দেয়। খালগুলোতে কচুরিপানায় ভরা দেখলাম। জেলা প্রশাসককে বলেছি, সিটি কর্পোরেশনে এখন যিনি আছেন তিনি তো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা । তিনি বললে দুএকদিনের মধ্যে উদ্যোগ নেয়া যাবে। আমি যদি সাতদিনের মধ্যে আবার আসি তাহলে কচুরিপানা কিছুটা কম দেখবো হয়তো।