বিগত সরকারের তৈরি করা ড্যাপের বিধিমালা সংশোধনের দাবি করে ঢাকা শহরের ভূমি-মালিকরা জানিয়েছেন ড্যাপ সংশোধন না করলে আগের নির্মাণ করা ১০তলা বা তার উপরে করা ভবন ভেঙে সব ৫তলা করতে হবে। কারণ একই পরিমাণ জমিতে আগে ১০ তলা হলে এখন ৫ তলার বেশি হবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ড্যাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি-মালিকরা সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ড্যাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি-মালিকদের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে স্বৈরাচারী দলের দোসর ও রাজউকের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় ঢাকা শহরের বহুবিধ সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করা হয়। যা ঢাকা শহরের নাগরিকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ড্যাপে ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এরিয়ায় সু-উচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এরিয়াকে অপরিকল্পিত এরিয়ার ট্যাগ দিয়ে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস করে দেওয়া হয় যাতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকরা কোনোভাবেই ভবন নির্মাণ করতে না পারে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একই পরিমাণ জমিতে পূর্বে ১০ তলা হলে এখন ০৫ তলা হবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, যদি এটা করতেই হয় তাহলে পূর্বের নির্মিত ১০ তলা বা ততোধিক ভবন ভেঙে সব ৫ তলায় রূপান্তরিত করতে হবে, অতঃপর ড্যাপ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হউক। বৈষম্যহীন ড্যাপ সংশোধন না করলে ঢাকার জমির মালিকরা একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আয়োজকরা। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো* ঢাকা শহরের সব এরিয়ায় ২০০৮ সালের বিধিমালা মোতাবেক ভবন নির্মাণের অনুমতিসহ বিধি অনুসারে রাস্তা অনুযায়ী যেখানে যত তলা পাওয়া যেত, তত তলা অনুমোদন দেয়া। ঢাকা শহরের সব রাস্তাকে কমপক্ষে ২০ ফিটে উন্নীত করা, জলাশয়, খাল-বিল, নদী-নালা ভরাট বন্ধ করা। ধানী জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি বন্ধ করা। নির্মাণ অনুমোদন সহজসহ রাজউকের হয়রানি বন্ধ করা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কো-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির শিমুল, কে এম এজাজ মাহমুদ, সৈয়দা আফসারুন নাহার, তানভিরুল ইসলাম ও মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।