মহেশখালী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরাবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) পরিচালনায় চলতি মাসে অপারেটর প্রতিষ্ঠান চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে সরকার।
এর মধ্যেই টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরির জন্য কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ২০১৫ সালের নভেম্বরে বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসের জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে নগরের পতেঙ্গার মধ্যে সংযোগ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ের এই প্রকল্পে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে উপকূল থেকে ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে এসপিএম স্থাপন করা হয়। এসপিএম থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল ও ডিজেল আনলোডিং করা হবে। ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই পাইপলাইন নিয়ে আসা হবে পাম্প স্টেশন ও ট্যাঙ্ক ফার্মে। ট্যাঙ্ক ফার্ম থেকে বিভিন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে জ্বালানি তেল চলে যাবে আনোয়ারার সমুদ্র উপকূলে। সেখান থেকে আবার ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইন পাড়ি দিয়ে তেল নিয়ে যাওয়া হবে পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে।
এসপিএম চালু হলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিপিসি’র বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বিপিসি সূত্র জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদাপূরণ এবং আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল এবং ফিনিসড্ প্রোডাক্টস্ সহজে, নিরাপদে, স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে খালাস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এ পাইপ দিয়ে।
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল পরিশোধন করে মহেশখালী এসপিএম প্রকল্পে স্টোরেজ করে দেশে সরবরাহ করা হবে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারে যুক্ত হয়েছে মহেশখালীর নির্মিত ২টি পাইপলাইন। বিপিসি’র একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এসপিএম প্রকল্প পরিচালনা করতে অপারেটর নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি, নতুন বছরে প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে।