ভারতের অতিরিক্ত আস্ফালনের উপযুক্ত জবাব দিতে দেশের সব নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। গতকাল রোববার বিকেলে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ভারতের এ দেশীয় স্থানীয় দালাল ছিলেন উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ১৫ বছর যুদ্ধ করেছে। দিল্লি আজকে হোক, কালকে হোক শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা নিয়েই তাকে ভারতে জায়গা দিয়েছে। এটা জানার পরও আপনারা কেন আমাদের সৈনিকদের তৈরি করছেন না? কেন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি না? তিনি বলেন, আজকে ভারত যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, এটা নিছক প্রোপাগান্ডা নয়। এটা এক ধরনের সামরিক প্রস্তুতি। আপনারা দেখেছেন, মব চলে আসছে সীমান্তে। দল বেঁধে তারা সীমান্ত অতিক্রম করবে, এত বড় দুঃসাহস দেখাচ্ছে ভারত। আমরা তো চাই, এটিকে সরকারের যারা আছেন, তারা আমলে নেবেন। যাতে কোনোভাবেই ভারত অভ্যন্তরীণভাবে আমাদের বিশৃঙ্খল করতে না পারে, জনগণের ঐক্য ভাঙতে না পারে। ফরহাদ মজহার বলেন, আজ আপনারা (বিজিবি) দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সৈনিকের যে সম্পর্ক তৈরি করেছেন, সেটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই ঘটনাটা তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, আমরা ইতোমধ্যে একটি বিপ্লব করেছি, যেটাকে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান বলছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা একটি গণঅভ্যুত্থান করেছি, জনগণ জেগেছে। আর জনগণ জাগার মনে হলো- দেশকে রক্ষার ক্ষেত্রে যিনি সৈনিক তিনি নাগরিক; যিনি নাগরিক, তিনিই কিন্তু সৈনিক। সৈনিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রোপাগান্ডার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। দেশের মধ্যে জনগণ বনাম সৈনিক যে দ্বন্দ্ব, এই দ্বন্দ্ব ৫ আগস্ট আমরা অতীতে ফেলে এসেছি।