চট্টগ্রামে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের চাহিদা কমবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। খুচরায় আকারে বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা। কয়েকদিন আগেও এ পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১০০ টাকা। কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ রসুন আদা ফেরি করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তের সামনেই তিনটি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ বাছাই করছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, আগের বেশকিছু পেঁয়াজ রয়ে গেছে। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। দেশে যখন ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকে তখন আড়তেও দাম কমে যায়। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ৭৫ টাকায়। অনায়াসে এ পেঁয়াজ ৯০ টাকা বিক্রি করতে পারবো। পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিলেও মোটামুটি লাভ থাকবে। মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজে গিয়ে দেখা যায়, বেলা দেড়টার দিকে এ আড়তের মূল্যতালিকায় ছিল প্রতিকেজি ভারতের সাউথ ও নাসিক পেঁয়াজ ৭৫-৭৮ টাকা। তুর্কি পেঁয়াজ ৭৩-৭৪ টাকা কেজি। কেরালার আদা ৭৫-৭৮ টাকা, দেশি শুকনা রসুন ২১০-২২০ টাকা। একজন আড়তদার জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেন স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বেপারিরা। তারা ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ আড়তে পাঠান এবং মোবাইল ফোনে দাম জানিয়ে দেন। আড়তদার বিক্রির পর কমিশন রেখে বাকি টাকা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন।
সূত্র জানায়, গত শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্তত ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও নিয়মিত আসছে তুরস্ক ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। সব মিলে সরবরাহ ভালো পেঁয়াজের। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, গত রোববার খাতুনগঞ্জে মান ও আকার ভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে।