নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি কবরস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হুসাইনের (১৯) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করতে দেননি মামলার বাদী ও স্বজনরা। আদালতের আদেশে গতকাল সোমমার বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরান খানের উপস্থিতিতে মাদানীনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করতে আসেন তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক হাসিনা বেগম।
মামলা প্রত্যাহার করে নিবে তবু লাশ উত্তোলন করতে দিবনা বাদী ও স্বজনদের এমন অবস্থানের কারণে আড়াইঘণ্টা অপেক্ষার পর লাশ উত্তোলন না করেই তারা ফিরে যান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরান খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হাফেজ সোলাইমান হুসাইন হত্যা মামলাটি আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৭৬(২) ধারা আলোকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলী আদালত গত ২৭ আগস্ট এক আদেশে লাশ উত্তোলনের জন্য আমাকে নিয়োগ করেন। আমি আদালতের আদেশ পালন করতে আসি। কিন্তু লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানায় মামলার বাদী ও স্বজনরা। তখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সঙ্গে কথা বলে বাদীকে সময় দেয়া হয়।