বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক গবেষণা সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর এসএমএ ফায়েজ। তিনি বলেন, শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের বিষয়টি মাথায় রেখেও বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ অতি দরিদ্র মেধাবী নারী শিক্ষার্থীর জন্য অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার রাজধানীর কলম্বোতে ‘গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ: সাউথ এশিয়া ডিপ ডায়ালগ’ শীর্ষক প্যানেল সদস্যের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সম্মেলনে ‘দি বাংলাদেশ-ইউকে হায়ার এডুকেশন পার্টনারশিপ: ফিউচার প্রসপেক্টস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। প্রবন্ধে তিনি উচ্চশিক্ষায় অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটানো জরুরি বলে জানান। বিশিষ্ট এ সমাজবিজ্ঞানী আরো বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে পশ্চিমা ধারণার সঙ্গে প্রাচ্যের উচ্চশিক্ষাই শুধু নয়, বরং সব বিষয়েই অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিকাশ ও বিস্তৃতি জরুরি। চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজের নেতৃত্বে ১৭-সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তিনদিনের ‘ন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন কনফারেন্স ২০২৪’এ অংশগ্রহণের জন্য কলম্বোতে অবস্থান করছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের অনারারি প্রফেসর ড. বাবুনা ফায়েজ, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন, বিএসি’র সদস্য প্রফেসর ড. এসএম কবীর, ইউজিসি পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, ড. একেএম শামসুল আরেফিন, মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, ড. দূর্গা রানী সরকার, জেসমিন পারভীন, বিএসি’র উপ-পরিচালক ড. ফারজানা শারমিন, বিশ্বব্যাংকের এটিএম আসাদুজ্জামান ও মো. মাহমুদুল হক এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের তৌফিক হাসান প্রমুখ।