‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা প্রেক্ষিত : পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার ভূমিকা শীর্ষক’ সেমিনারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের ক্যাপাসিটির সর্বোচ্চটা দিয়ে আমরা কাজ করছি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের মাঝে সচেতনতার মারাত্মক অভাব। এডিস মশা মূলত পরিষ্কার পানিতে ডিম পারলেও অনেক সময় দেখা যায়, মশার স্প্রে দিতে গেলে স্থানীয়রা নিজ বাড়ির কোনায়, আঙিনায় ও জানালায় এই স্প্রে প্রয়োগের জন্য চাপ প্রয়োগ করে, এমনকি মারতেও উদ্যত হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কর্মীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই আমি সকলকে অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা সকলেই সচেতন হোন। নিজ বাড়ি ও বাড়ির আঙিনা যদি পরিষ্কার রাখতে পারি এবং ডেঙ্গু সচেতনতাটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৫০ থেকে ৬০ পারসেন্ট কাজ হয়ে যাবে।
ওষুধ স্প্রে করা, ফগিং করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে শতভাগ ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। তবে, জনগণ সচেতন না হলে সিটি কর্পোরেশন বা কোনো সংস্থার একক প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সরকারি তোলারাম কলেজের সার্বিক সহযোগিতায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজের পদ্মা মিলনায়তনে গত বুধবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শহীদুল ইসলাম, আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সেলিনা আক্তার, সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষা ক্যাডার অফিসার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মইনুল আশরাফ। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে।