চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তামীম রহমান, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সবজির বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাজারের দরদাম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিগত দুই মাস ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। গতকাল শুক্রবার নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, বহদ্দারহাট, কর্ণফুলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি স্বর্ণা ও ইরি মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পাইজাম ও ব্রি ২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ও মিনিকেট সরু চাল ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯৬ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খরচ বেশি ও দেশীয় ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কমছে না। মুদি দোকানে বেড়েছে সয়াবিন ও সরিষার তেলের দাম। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, ৫ লিটার ৮৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা সাদা চিনি ১২৮ টাকা, ময়দা ৭৫ টাকা ও আটা ৫৮ টাকা, ছোলা ১৩০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, ভারতীয় আদা ৯০ টাকা, রসুন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ২৮ নভেম্বর ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গত বৃহস্পতিবার ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে পণ্যটির দাম কমেছে ৩৫ টাকা বা ৩১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

একই সময়ে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কেজিতে ২৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পর ভারত ও পাকিস্তান থেকে ব্যাপকভাবে পণ্যটির আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহ বাড়ে দেশীয় বাজারে। তাছাড়া শীতের সবজি হিসেবে বাজারে এসেছে পেঁয়াজ পাতাও। অনেকেই পেঁয়াজের পরিবর্তে ব্যবহার করেন এই পাতা। সব মিলিয়ে কমতে থাকে দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেয়া হচ্ছে সয়াবিন তেলের দাম। এদিকে, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, দেশি আলু ৮০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৬০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বাজারে সবজি সরবরাহ করা হয় বৃহত্তর সবজির আড়ত রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে। মাছের মধ্যে পোয়া ২৮০ টাকা, লইট্টা ২০০ টাকা, পাবদা ৩৮০-৪২০ টাকা, রূপচাঁদা ৫৫০-৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৭০-১৮০ টাকা, রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা, মৃগেল ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে অধিকাংশ সবজি আসে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলা থেকে সবজি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকা, সোনালি ২৮০-৩০০ টাকা, লেয়ার ৩৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাড়সহ ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।