তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানান তরুণ সমাজ। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত মানবন্ধনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক বিরোধী শিক্ষার্থীরা, তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম, নারী মৈত্রী, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডরপ, প্রজ্ঞা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, উন্নয়ন সমন্বয় এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনসহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন এর সদস্যরা এ দাবি তুলে ধরেন। এ সময় তারা এই আইন সংশোধনের ৬টি প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবগুলো হলো- সব পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যে কোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। সে হিসেবে প্রতিদিন ৪৪২টি প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। তামাকের কারণে বিভিন্ন রোগ যেমন- হৃদরোগ, ফুস্ফুস, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসরোগ, ক্যান্সার, কিডনি রোগ এবং আঘাতজনিত রোগ ক্রমেই বাড়ছে। এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। পরোক্ষ ধূমপানের নারীদের অকালে গর্ভপাত, অপরিণত শিশুর জন্ম, স্বল্প ওজনের শিশু, গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মৃত শিশুর জন্ম দেয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই অকাল মৃত্যু রোধে এবং নারী-শিশুর স্বাস্থ্য ঝুকি হ্রাসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী এখনই পাশ করতে হবে।