জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি। যে তথ?্যাদি গবেষণায় বের হয়ে আসবে সেসব নথিভুক্ত করার পাশাপাশি পরবর্তী অ?্যাকশনপ্ল?্যান প্রকল্পেই থাকতে হবে। তা না হলে কাজটি অসস্পূর্ণ থেকে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। গতকাল শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডাপশন পাথওয়েজ: পারসপেকটিভস ফ্রম ভালনারেবল এথনিক কমিউনিটিজ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্বাগত বক্তব্য ও প্রজেক্ট ব্রিফ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি প্রকল্প থেকে হওয়া গবেষণাগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি এই কাজ থেকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে গবেষণা কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং তার প্রয়োজনীয়তার দিক তুলে ধরেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
কোনো একটি এলাকার কাউকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ নেই, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবর্তন দৃশ?্যমান হবে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মধ?্য দিয়ে এই পাঁচটি গবেষণা আরো অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ ধরনের কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইমরুল হাসান মনে করেন, কেবল গবেষণা ও জার্নাল দিয়ে যেনো প্রকল্প কাজ শেষ না হয়, এ ধরনের কাজে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নটা জরুরি। সমস?্যাগুলোকে মাইক্রো লেভেলে দেখার চেষ্টা করলে পরিবর্তন ঘটবে সেই বিশ্বাসের কথা বলেন তিনি। সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন।