সাদপন্থিরা তাবলিগি নয়, তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী বলে মন্তব্য করেছেন তাবলিগ জামাতের নেতা মুফতি কেফায়তুল্লাহ আজহারী (উত্তরা)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল মসজিদে ‘সাদপন্থিদের টঙ্গী ময়দানের নৃশংস হামলা ও তাবলিগের চলমান সমস্যা’ ইস্যুতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার টঙ্গীর মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের দায় দায়িত্ব বিগত বছরগুলোতে শুরাই নিজামের উপর পরিপূর্ণরূপে ন্যস্ত ছিল। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় যে, গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গী এজতেমার মাঠে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতি ও মাঠের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত তাবলিগ জামাতের সাথী ও মাঠে অবস্থিত মাদরাসার কোমলমতি শিশু এবং তাদের শিক্ষকদের উপর বিনা কারণে সাদপন্থিরা বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলা চালায়।
রামদা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রডের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ও নামাজরত নিরীহ-নিরস্ত্র তাবলিগ জামাতের সাথীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ইতিহাসের এ বর্বরোচিত হামলায় নেজামের তিনজন সাথী নিহত এবং শত শত সাথী মারাত্মকভাবে আহত হন। সাদপন্থিরা এতটাই হিংস্র হয়ে উঠে যে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের ওপরও হামলা চালাতে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি আরো বলেন, সাদপন্থিরা একই কায়দায় গত ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরেও একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয়, বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ তারিখ দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।