চারদিন ধরে নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান নিজেই ফিরে এসেছেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিজ হল শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ফিরে আসেন তিনি।
এর আগে, খালেদ হাসান গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। হলে ফিরে আসার পর রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদকে গুম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘খালেদের ভাষ্যমতে- শুক্রবার বিকেলের দিকে টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাবার সময় রিকশাতেই অজ্ঞাত কারণে সে জ্ঞান হারায়। পরবর্তীতে সে যখন জ্ঞান ফিরে পায় সে নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পায়। এ সময় তার সঙ্গে আরো ২-৩ জন ছিল। পরবর্তীতে সে আবারও জ্ঞান হারায়।” তিনি আরো বলেন, “দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পায়, তখন সে নিজেকে পঞ্চগড়ের কোন একটা জায়গায় দেখতে পায়। তখনও মাইক্রোবাস চলমান ছিল। তৃতীয়বার গত মঙ্গলবার যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন সে নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে দিলে সে ঢাকা পৌঁছায় এবং হলে ফিরে আসে। খালেদ হাসানকে দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি খালেদ হাসানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হামজা ও খালেদ হাসানের পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।