চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রাশিয়া, সৌদি আরব, মরক্কো এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৩৪ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ১৪তম লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ১০ম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার প্রোডিন্টরগ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসির মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৬ষ্ঠ লটের ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এ সার আনবে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৪৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কো ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় ১০ম (ঐচ্ছিক-১ম) লটের ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এ সার আনবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৫৬ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৮৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।