কক্সবাজারের পেকুয়ায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় থেকে রাত ১১টায় শেষ পর্যন্ত তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা পেশ করেন দেশের ইসলামি স্কলার ও মুফাসসিররা। মাহফিলে প্রধান মুফাসসিরের আলোচনা পেশ করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য জাতীয় ঐক্যের চাইতে মোক্ষম হাতিয়ার আর কিছুই নেই। এ জন্য দেশের এমন সময়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সকাল থেকে পেকুয়া জনপথে মানুষের ঢল নামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ধর্ম প্রাণ মুসলিম উম্মাহ। মাহফিলে ৬৪ জেলার অন্তত ৫ লাখ মানুষের সমাগম হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথির ছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য জবাব সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন সকল মানুষ ঐক্য, সব মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে বসবাস করতে পারি।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিক মাঝে বৈষম্য যেন না থাকে। আল্লাহ আমাকে আপনাদের সামনে এই কথা বলার জন্য বাঁচিয়ে রেখেছে।
ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ইসলামি স্কলার ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, এক আল্লাহ ছাড়া আমরা কাউকে মাথানত করি না ও করবো না। ফ্যাস্টিস সরকার ও জালেম সরকারের পতন হয়েছে। এই বার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা এই মাহফিল থেকে শপথ নিতে চাই আগামী বাংলাদেশ হবে জাতীয় ঐক্যের বাংলাদেশ, ইসলামী বাংলাদেশ। এই দেশের মাটিতে স্বৈরাচারের স্থান আর হবে না।
পেকুয়া তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে ১ম অধিবেশনে অধ্যক্ষ মৌলানা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা পেশ করেন শায়খ মুফতী ইব্রাহিম,মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীন,মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী
দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী সভাপতিত্বে আলোচনা পেশ করেন, হাফেজ মুফতি আমির হামজা, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী,শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী। পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, মাওলানা আজহারীসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নেমেছে পেকুয়ায়। তিনি আরো জানান, মাহফিল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে চতুর্পাশে সিসিটিভি, জেনারেটর লাইট, স্বেচ্ছাসেবকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মাহফিলে ৫ লক্ষাধিক মানুষ একসঙ্গে বসারও ব্যবস্থা করা হয়।