ঢাকা ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুদের সুরক্ষায়

জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি ফর পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত

জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি ফর পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন (ডাম)-এর শিক্ষা সেক্টরের ড্রপ ইন সেন্টার এন্ড নাইট শেল্টার প্রকল্পের উদ্যোগে ‘পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুদের সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদের সাথে জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি ফর পলিসি ডায়ালগ’ আয়োজন করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয় কনফারেন্স রুমে গতকাল এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান-এনডিসি, মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (গ্রেড ১)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদ, ডেপুটি সেক্রেটারি, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। অ্যাডভোকেসি সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাম শিক্ষা ও টিভিইটি সেক্টরের যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। সেমিনারে পথশিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের ওপর মূল বক্তব্য প্রেজেনটেশন আকারে উপস্থাপন করেন শিক্ষা সেক্টরের কোঅর্ডিনেটর এমএন্ডই শেখ শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পথশিশুদের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আমাদের সবার। ‘স্রষ্টা এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কাজ করে যাচ্ছে। মাদক সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এর মধ্যে সবচেয়ে ভিকটিম শিশুরা। তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েদের দিকে দায়িত্ব পালন করতে পারলে ৯০% মাদকের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। মাদক গ্রহণ না করলে মাদকের ব্যবসা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবো। মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিবেশ বদলাতে হবে, তাহলেই অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। একটা কমিউনিটি যতক্ষন পর্যন্ত গড়ে না ওঠে ততক্ষন পর্যন্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মানুষের উপকার করলে আইনের প্রয়োজন হয় না। খারাপ কাজ করতে যথেষ্ট আইন প্রয়োজন। আমাদের দেশে আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত কোন শিশু পরিচয়হীন থাকবেনা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, জন্ম নিবন্ধন খুবই সহজ একটা ব্যাপার। ইউজওঝ জন্ম নিবন্ধন সাইট। এই সাইটে গিয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্বন্ধে তথ্য জানুন। জনগণ সচেতন হতে হবে। পথশিশু বলে কিছু নাই এরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের পক্ষ থেকে সবরকমের সহযোগিতা করা হবে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল বলেন, জন্ম নিবন্ধন না থাকায় পথশিশুরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

তাদের জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আনা সহজ হবে। অ্যাডভোকেসি সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনেরন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, পথশিশুরা রাস্তায় মাদক বিক্রি করে কারণ এটা সহজ ও লাভ বেশি হওয়ায় এরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পরে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পথশিশুদের উন্নয়নে মিশনের সেন্টার বেজ এবং আউটরিচ কর্মসূচিসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি সেমিনারে আগত সবাইকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি পথ শিশুদের মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতাগুলো সবার সাথে শেয়ার করেন। তারা বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এবং উন্নয়নকল্পে পথ শিশুদেরকে বাদ দিয়ে সম্ভব হবেনা। দেশের উন্নয়নে পথ শিশুদেরকে গুরুত্ব প্রদান করে তাদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও অধিকারগুলো সামনে রেখে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত