জানুয়ারি মাসের মধ্যে এনটিআরসির পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষককে এমপিও দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা বলেন, এনটিআরসির মাধ্যমে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শাখায় নিয়োগ পায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষক। যোগ দেয়ার ৪ মাস পার হলেও কারিগরি অধিদফতর এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৫ জনকে এমপিও দিয়েছে। ফলে প্রায় ২ হাজার শিক্ষক পরিবার-পরিজন নিয়ে ৪ মাস বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা চাই যেন, দ্রুত এসব শিক্ষকদের এমপিও এবং যোগদান থেকে বেতনের ব্যবস্থা করা হয়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, এনটিআরসির পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীন প্রায় ২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পায়। তারা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিয়মিত পালন করে আসছেন। অথচ ২ হাজার শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৮৫ জনকে ডিসেম্বর মাসে এমপিও দেয়া হয়েছে। যারা জানুয়ারি মাসে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন হাতে পাবেন। যদিও তাদের যোগদানের পর থেকে বেতন দেয়া হয়নি। বকেয়া বেতন দেয়া হবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষক ফেডারেশন এরমধ্যে দুবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহা-পরিচালককে স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু বেতনের কোনও অগ্রগতি হয়নি। গত ৪ মাস ধরে প্রায় ২ হাজার শিক্ষক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঋণগ্রস্ত এসব শিক্ষক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছেন। স্বাভাবিকভাবে তারা পাঠদানও করতে পারছে না। বিপরীতে একই প্যানেল থেকে একই যোগ্যতা নিয়ে জেনারেল ও মাদ্রাসা শাখার শিক্ষকরা যোগদানের পর থেকেই বেতন পাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও বিনা বেতনে কাজ করানো অসাংবিধানিক এবং বেআইনি।