ঢাকা ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পরিযায়ী পাখির ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী ‘পাখিমেলা’

পরিযায়ী পাখির ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী ‘পাখিমেলা’

‘পরিযায়ী পাখির ক্যাম্পাস’ হিসেবে পরিচিত সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। শীতকালে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এখানে ঠাঁই নেয় নানা জাতের পরিযায়ী পাখি।

তাই এই ক্যাম্পাসের লেকগুলো পরিযায়ী পাখির পছন্দের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পাখিপ্রেমী ও সংরক্ষণকর্মীরা এখানে শুরু করেছিলেন পাখিমেলা। প্রতিবছরের মতো সেখানে পাখিমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

এবার বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে পরিযায়ী পাখি নেই। ক্যাম্পাসের লেকগুলো পাখি শূন্য হলেও পাখিমেলা দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে পরিযায়ী পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। তবে পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচির, খুনসুটি আর উড়াউড়ি দেখতে না পেরে হতাশই হয়েছেন। ঢাকার মিরপুর থেকে বাবা ও মায়ের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে আসেন আফসানা। তিনি বলেন, ‘আগেরবার মেলায় এসে লেকগুলোতে অনেক পাখি দেখেছিলাম। তারা কি সুন্দর করে উড়তো আর কিচিরমিচির ডাকতো। কিন্তু এবার লেকগুলোতে পাখি দেখতে পায়নি, তাই কিছুটা মন খারাপ।’ ‘পাখপাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’- প্রতিপাদ্যে আয়োজিত দিনব্যাপী মেলায় বিগ বার্ড বাংলাদেশ, সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন এ্যাওয়ার্ড, কনজারভেশন মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড এবং স্পেশাল রিকগনিশন এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া ছোটদের পাখি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ, বই-পোস্টার প্রদর্শনী, সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, পাখি দেখা ও পাখি চেনার প্রতিযোগিতা এবং পাখি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘পাখি মেলায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্র হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃশ্যমান অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফলে এখন পরিযায়ী পাখি আগের তুলনায় অনেক কম আসছে। তাই পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।’

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, পাখিমেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত