টানা তিন দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। পৌষের শীতের হিমেল হাওয়া কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়ার পর শনিবার সকালে রোদ উঁকি দিয়েছে; স্বস্তি ফিরেছে নগরজীবনেও। গেল তিন দিন ধরেই প্রায় দিনভর রাজধানী ছিল কুয়াশার চাদরে ঢাকা। দিনভর ঠান্ডা হাওয়ায় ভুগতে হয়েছে বাইরে খেটে খাওয়া মানুষ আর সকাল-সকাল অফিসগামী যাত্রীদের। রাজধানীর মহাখালী এলাকার রিকশাচালক মো. রাসেল বলেন, আইজ অন্যদিনের চাইয়া সকালে একটু শীত কম। এই কয়েকদিন ঠান্ডা আর কুয়াশায় কাবু হইয়া গেছি। রিকশার হ্যান্ডেল ধইরা রাখতেও কষ্ট হইছে। রাইতেও তাড়াতাড়ি গাড়ি বন্ধ করছি। কষ্টই হইছে কয়দিন। মহাখালীতে আইসিডিডিআর’বির সামনের চা দোকানি জামাল হোসেন বলেন, এই দুই-তিনদিন অনেক ঠান্ডা পড়ছে। সকালে তো দোকানই খুলতে পারি নাই।
আজ আবার সকালে রোদ উঠায় দোকান খুলছি। কয়েকদিনের শীতে বিক্রি বেড়েছে শীতবস্ত্রের। এই এলাকায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রেতা মো. জিহাদ বললেন, এই কয়েকদিন বেচাবিক্রি একটু ভালো হয়েছে। আসলে শীত কম পড়লে তো আর মানুষ শীতের জামাকাপড় কিনতে চায় না। রাজধানীর সাতরাস্তা এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আফজাল হোসেন বলেন, আমি সাধারণত সকাল ৮টায় অফিসের জন্য বের হই; রাত আটটায় ফিরি। এই দুই-তিন দিন সকালে বের হয়ে খুবই কষ্ট পেলাম শীতে।