বিসিএসের আবেদনে চিকিৎসকদের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে কর্মবিরতিসহ চিকিৎসকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ইউনাইটেড মেডিকেল অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ-ইউমব। ইউমবের মুখপাত্র ও ডক্টরস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি ডা. মোবারক হোসেন গতকাল সোমবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের প্রজ্ঞাপনে আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩২ বছর দেয়া হয়েছে। এটি সব আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ‘সাধারণত বিসিএসে আবেদনকারীদের স্নাতক শেষ করতে যেখানে ন্যূনতম ৪ বছর লাগে। এমবিবিএস অথবা বিডিএস স্নাতক ও ইন্টার্নশিপ শেষ করতে লাগে অন্তত সাড়ে ছয় বছর। এ জন্য আগের সব সাধারণ বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণ আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর থাকলেও চিকিৎসকদের বয়সসীমা ছিল ৩২ বছর। ‘সবশেষ প্রজ্ঞাপনে সবার বয়সসীমা ২ বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কোনো বয়স বৃদ্ধি হয়নি। চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’ চিকিৎসক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। সবাই শুধু আশ্বাস দিয়ে বলেছে দাবি যৌক্তিক, কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ‘আমরা দেখছি যে, কোনো দাবিই আন্দোলন ছাড়া মানা হচ্ছে না। ভাতা বৃদ্ধির বিষয়েও চূড়ান্ত আন্দোলনের পর দাবি মানা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকদের কাজ তো আন্দোলন করা নয়। যে কারণে আমরাও কোনো আন্দোলনে যেতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’ অন্যদের মধ্যে ডা. রাইয়ান আক্তার, ডা. সারওয়ার জাহান তুহিন, ডা. গোলাম সাদমান এবং এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) ডা. আব্দুল ওহাব মিনার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।