পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার জওয়ানদের ‘নিরপরাধ’ দাবি করে তাদের মুক্তি ও পুনঃতদন্তসহ তিন দাবি নিয়ে ঢাকার রাস্তায় মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজনরা। বিডিআর কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গতকাল রোববার মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্য যাদের অধিকাংশের সাথে অন্যায় হয়েছে আমরা তাদের ন্যায় বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছি। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক, আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে? এটিতো একটি গণদাবি।
আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেখানে ২ এর (ঙ) ধারায় বলা হয়েছে যারা দোষী সাবস্ত হয়েছেন তারা দোষীই থাকবেন। তাহলে পুনঃতদন্তে লাভ কি? অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মাহিন বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় মানববন্ধন হচ্ছে, প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। জনগণের মধ্যে প্রবল সাড়া পাওয়া গেছে। জনগণ চায় এর ন্যায্য বিচার হোক। আজকে যারা চাকরি হারিয়েছেন অন্যায়ভাবে তারা জানতোই না তাদের অপরাধ কি। তাদের অধিকার রয়েছে চাকরি ফেরত পাওয়ার।’ তিনি দ্রুত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বাসন ও পুনর্বহালের দাবি তুলেছেন। মানববন্ধনে স্বজনদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়।
সেগুলো হল, পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
নির্দোষ প্রত্যেক বিডিআর সদস্যর মুক্তি, ১৮টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে গণহারে গ্রেপ্তার করে যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ পুনরায় চাকরিতে পুনর্বহাল করা।