ঢাকা ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেন দৃশ্যমান হয়

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেন দৃশ্যমান হয়

বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ অবস্থান সঠিক রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো যেন সবার কাছে দৃশ্যমান হয়— ইউএনডিপি’র নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ পরামর্শ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। গত রোববার বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ইকোসিস্টেম প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক ৫ বছর মেয়াদি ইউএনডিপি’র গৃহীত নতুন প্রকল্পের কার্যাবলী পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের এ উপদেশ দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বাস্তবমুখী পরিবেশ ও সবার উপযোগী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউএনডিপি জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ বছর মেয়াদি ইকোসিস্টেম পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পে ৫০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার রিসোর্সের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো বিরূপ কিছু ঘটানো যাবে না। বন-জঙ্গল ও প্রাণীকুলের পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রেখে ইকোসিস্টেমে পরিবেশ বান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরনা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা পলিসি’র ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষকদের ম্যাথ, ইংলিশ ও সায়েন্সের বিষয়গুলোতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় এ সব বিষয়ে দক্ষ ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার মহোত্তম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত