ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে তিন কোটি টাকার গাড়ি আত্মসাৎ

পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার
রাজধানীতে তিন কোটি টাকার গাড়ি আত্মসাৎ

রাজধানীতে প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি টাকা দামের চারটি গাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জারাক আহমেদ (৩৮), আবুল কালাম রিফতিয়ার (৩৮), মো. জামির হোসেন (৩৬), মো. সজল আহম্মেদ (৩০) ও আব্দুর রহমান রুবেল (৫৬)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মো. ইমদাদুল হক খান ওরফে নওশাদ একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তেজগাঁওয়ের ২৪০, আজিজ কোর্ট গ্রাউন্ড ফ্লোরে তার গাড়ির শোরুম রয়েছে।

এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদ ও চেয়ারম্যান মো. জামির হোসেন গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিক্রির উদ্দেশে চারটি গাড়ি ডেলিভারি চালানমূলে ভাটারা থানার নর্দ্দা প্রগতি সরণি এলাকায় এবি ড্রাইভ লিমিটেডের শোরুমে নিয়ে যায়। গাড়ি চারটির বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা গাড়িগুলো ফেরত দেবে না বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ইমদাদুল হক খান জানতে পারেন, গাড়িগুলো আত্মসাৎ করার জন্য শোরুম থেকে সরিয়ে ফেলেছে তারা। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি জারাক আহমেদ ও মো. জামির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়।

মামলার সূত্রে গত মঙ্গলবার রাতে গুলশান লিংক রোড এলাকা থেকে এবি ড্রাইভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে জামির হোসেনের সহযোগী আবুল কালাম রিফতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিসি ইবনে মিজান আরো জানান, রিফতিয়ারের বস জামির হোসেন তাকে একটি টয়োটা এসকোয়ার মাইক্রোবাস গাড়ি ও একটি টয়োটা এক্সজিও প্রাইভেটকার তার জিম্মায় এক আত্মীয়ের বাসায় রাখতে বলে।

তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগরের আফতাব নগর এলাকা থেকে ওই গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়। আরো দুটি গাড়ির বিষয়ে জানানো হয়, সজল আহম্মেদ এ বিষয়ে জানেন। পরে সজল আহম্মেদ ও আব্দুর রহমান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভূইগড় এলাকায় মো. সাইদুর রহমানের কাছ থেকে একটি টয়োটা ভেলফেয়ার জিপ গাড়ি ও একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত