গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে সারা দেশে ৪০টি মাজার, ৪৪টি দরগায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সব ক’টি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫টি ঘটনার মামলায় মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ২৯টি ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গতকাল শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) হামলার বিষয়ে পুলিশের রিপোর্টে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজার-দরগায় যে কোনো আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার দেশের স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শফিকুল আলম জানান, বিবাদমান পক্ষের সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীল করা কর্মসূচিতে জোর দেয়া হয়েছে। পুলিশের তথ্য বলা হয়েছে, পুলিশ গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪টি ভাঙচুর হামলার রিপোর্ট পেয়েছে। ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাজার এবং ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট, মাজারে আগুন দেয়া ইত্যাদি। হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে।
এই বিভাগের সর্বাধিক ১৭টি, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০ ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারটি হামলা হয়েছে। ৪৪টি হামলার ঘটনার সবক’টিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। এসব মামলা ও ডায়রি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করেছে। এসব ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরো ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।