প্রতিবন্ধী নারীসহ সব নারীদের অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নে দরকার রাস্ট্রীয় উদ্যোগ ও সর্বস্তরের সচেতনতা। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গত ১৩ মার্চ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। তারা বলেন, নারী ও পুরুষ বলে দুটি বিবদমান পক্ষ আসলে নেই। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিদ্যেমান নারীর প্রতি বৈষম্য, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতন নিরসনে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। নারীর শ্রম চিরকালই উপেক্ষিত থেকেছে। সংসারে, সমাজে ও রাস্ট্রে নারীর শ্রমের মজুরি হিসাব করলে দেখা যাবে একজন নারী তিনি যে আর্থ সামাজিক পরিসরেই থাকেন না কেন তার অবদান জাতীয় উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এখন সময় নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি বিষয়ে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ। নারীকে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার বাধাসমূহ মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিবন্ধী নারী ও কণ্যাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করা জরুরি। বক্তারা আরও বলেন, নারীর সুস্থতায় উদ্যোগ জরুরি। দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়ন করে নারীর ক্ষমতায়ন এই মুহূর্তে জরুরি। নারীর উন্নয়নের মূলধারা থেকে কোনো ক্রমেই যেন বাধ না পড়ে প্রতিবন্ধী নারীসহ অন্যান্য পরিচয়ের প্রান্তিক নারী। সেইভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল এর সহায়তায়, কিংডম অব ন্যাদারল্যান্ডসের আর্থিক সহায়তায়, ডিজএ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশন (ডিসিএফ) এর উদ্যোগে নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম, সেইভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারনেশনালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব সাবেরা ইয়সমিন, পল্লীমা সংসদ -এর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজুর রহমান ময়না। অনুষ্ঠানে ডিসিএফ’র নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিএফ’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর প্রিয়তা ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে স্ত্রীরোগ ও নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা করেন ডিসিএফ’র প্রজেক্ট
কো-অর্ডিনেটর নাঈমা ইসলাম অন্তরা। ডিসিএফ’র চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অনুষ্ঠানের সমাপণী বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।