ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আবু লাল (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজন ও
স্থানীয়রা। অবরোধকারীদের দাবি, ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় মহাসড়কের মদনপুর অংশে এ অবরোধ করা হয়। এতে করে আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা সড়ক থেকে সরে যান।
নিহত আবু লাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামপুর থানার দুখু মিয়ার ছেলে। তিনি মদনপুরের চানপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। আন্দোলনরত কয়েকজন ব্যক্তি জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাহবুব এবং রাশেদসহ তিনজন মিলে বেধড়ক মারধর করেন আবু লালকে। পরে এই অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে সে মৃত্যুবরণ করেন। জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং এর সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে মাহবুব নামের এক ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন ছিল। একপর্যায়ে মাহবুবের কাছ থেকে ধার নেয়া টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিল আবু লাল। এ নিয়ে গত শুক্রবার বিকালে মাহবুব ভিকটিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে ভিকটিম অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ পান করে গুরতর অসুস্থ হন। পরে আবু লালের স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু লালের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নিহতের স্বজনরা আবু লালকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে দোষীদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ বলেন, একজনের মৃত্যু নিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল স্বজন ও তার এলাকার মানুষজন। তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মহাসড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গত রাতেই ভিকটিমের পরিবার মাহবুবের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এরপর হঠাৎ বিকালে স্বজনরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।