ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পণ্যের দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা

পণ্যের দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা

রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় চালের বাজার সামান্য ঊর্ধ্বমুখী। আলুসহ বিভিন্ন সবজি ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কমায় সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। কমেছে গরুর মাংস ও পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, রংপুর জেলা সব সময় ধান চাল উৎপাদনে উদ্বৃত্ত এলাকা। প্রতি বছর শুধু মাত্র রংপুর জেলা থেকে উৎপাদিত সাড়ে চাল লাখ মেট্রিক টন চাল দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্য মাত্রা ছাপিয়ে চাষ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন চাল। সেই লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি চাল উৎপাদন হয়েছে। রংপুরে চালের দাম দফায় দফায় বাড়ার কোনো কারণ তিনি দেখছেন না। তার ধারণা এটা ‘সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজি’। রংপুরে চালের দাম আবারও বেড়েছে। প্রকার ভেদে কেজি প্রতি চালের দাম ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। আড়তগুলোতে চালের মজুত ভাল বলেই সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে তারপরও চালের দাম বাড়ছে। চালের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমজিবীসহ মধ্য বিত্ত পরিবার চরম বিপাকে পড়েছে। সাধারণত শ্রমজীবীরা বা স্বল্প আয়ের অনেকেই এই এলাকায় তিন বেলা ভাত খান। তবে এখন তারা দুই বেলা খেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভাগীয় নগরী রংপুরের দেশের অন্যতম বড় চালের মোকাম রংপুর সিটি বাজার ও মাহিগজ্ঞ মোকামে গিয়ে দেখা গেছে ৪২ টাকা কেজির মোটা চাল ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর অনুযায়ী, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, দু-একদিনের মধ্যে চালের দামও কমে যাবে। এবারে রমজানে নিত্যপণ্যসহ কোন পণ্যের দামই তেমন বাড়েনি।

গতকাল বুধবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো ১৫-২০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, ঝিংগা ১১০-১২০ টাকা, ফুলকপি ১৫-২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুধকুষি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৩৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। সিটি বাজারে সবজি কিনতে আসা লোকমান হোসেন বলেন, ‘রোজা শুরুর পর থেকেই সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। তাই রোজা উপলক্ষে সবজি কিনতে বাড়তি চাপ নিতে হয়নি।’

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩৫-৪০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন ৮০-৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি হালি ডিমের দাম ৩২ টাকা। তবে খুচরা বাজারে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ডিমের হালি ছিল ৪০-৪১ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাগালের মধ্যে রয়েছে সব ধরনের আলুর দাম। কার্ডিনাল আলু ২০ টাকা কেজি, শিল আলু ৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত