চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিক কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের প্রধান উৎস দুটি। একটি উৎস ‘ডাউকি ফল্ট’ শিলং মালভূমির পাদদেশে ময়মনসিংহ-জামালগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে বিস্তৃত যা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এই ফল্টের পূর্ব প্রান্তে অর্থাৎ সিলেটের জৈন্তাপুর অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশংকা খুব বেশি। আরেকটি উৎস হচ্ছে সিলেট থেকে ত্রিপুরা হয়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টেকনাফ পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম মহানগরে প্রায় ২ লাখ ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। রিখটার স্কেলে ৭.৫ বা তার চেয়ে অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের।